বিয়ের পর একটা মেয়েকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সেটা হচ্ছে
বিয়ের পর একটা মেয়েকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সেটা হচ্ছে
“সুতরাং বিয়েতে কী দিসে? জামাই কী দিসে? মোহর কত? শাশুড়ি কী দিসে?” ইত্যাদি। অনেকে তো জিজ্ঞেস করেই ক্ষান্ত হয়না, কী কী দিয়েছে তা দেখার জন্য পীড়াপীড়ি করে।
যদি অনেক কিছু দিয়ে থাকে, অনেক মোটা অংকের মোহর থাকে, ভরি ভরি গয়না থাকে, দামি দামি পোশাক থাকে তবে আমরা এ গাল ও গাল হেসে বলি বাহ অনেক কিছুই তো দিলো, অনেক আদর করে তো বউকে, কিংবা কত ভাল উদার জামাই।
তারা এটা জেনেও জানে না যে এইসব টাকাপয়সা আর গয়নাগাটি দিয়ে কখনওই একটা মানুষের চরিত্র বা সুখ দুখ মাপা যায়না। বেশি কিছু দিলেই মনে করে মেয়ে ভাল আছে, হোক মেয়ের জামাই বেদ্বীন,বউ পেটা স্বভাবের কিংবা নেশাখোর।
আর মেয়েপক্ষ যখন গর্বে গর্বিত হয়ে বলতে থাকেন কী কী দিয়েছে মেয়েকে তখন মোহরটা কি মোহর থাকে নাকি রিয়া হয়ে যায়? মেয়ের হক আদায়ের জন্য মোহর হয় নাকি মানুষকে বড় গলায় বলার জন্য?
যদি মেয়েকে খুব বেশি কিছু না দেয়,তবে তাদের মুখ কালো হয়ে যায়, আফসুসের সুরে তারা বলেন- এমন যায়গায় মেয়ে কেনো বিয়ে দিলেন? কিংবা মেয়ের কি বিয়ে হচ্ছিল না? এক ঝটকায় তারা মেয়ের জামাইকে জাজ করে ফেলেন,জামাই এবার যত ভালই হোকনা কেনো তারা মনে করেন সেই বাড়িতে মেয়ের আদরকদর নাই,
ভাল জায়গায় বিয়ে হয়নাই।
যেসব মেয়েরা বলতে পারেনা তার বিয়ের সময় সে বেশি কিছু পায়নাই এদের মনে খুব কষ্ট আসে। এরা এসব নিয়ে নালিশ করে, সুযোগ পেলে স্বামীকে বলে বসে 'কই কিছুই তো দিলানা' কিংবা বাবা-মাকে বলে ' একদম মাগনা বিদায় করে দিয়েছো আমাকে'
বিয়ে শাদি যেন আজকাল ছেলে মেয়ে কেনাবেচা হয়ে গেছে। এক পক্ষের সেই উঁচু মোহর দাবী তো অপর পক্ষের সেই উঁচু যৌতুক দাবী।
আপনিই বলেন, কী মনে হচ্ছে আপনার? এসব দিয়ে একটা মেয়ে সুখে আছে কিনা তা বুঝে নিবেন? আমার মোহর কত আমার মা বাবাও জানেনা। আমার মোহর আমি নিজে নির্ধারণ করেছি। আমাকে এই যাবত যতজন জিগেস করেছে আমি কাউকেই এর উত্তর দেইনি। আমার মাকেও বলেছি উত্তর না দিতে। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যকাউকে তার এইসব ব্যক্তিগত বিষয় জিগেস করার আগে লজ্জা পাওয়া উচিৎ, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কত টাকা দিলো আর কী কী পরনের জন্য দিলো এসব কিভাবে কেও জিগেস করে?
আরেকটা বড় গুনাহের কথা কী জানেন? এতো বেশি মোহর যে চাওয়া হয়, সেই মোহর ছেলে আদৌ পরিশোধ করতে পারে না। যার কারণে গুনাহগার হয়, আর সামর্থ্যের বাহিরে চাওয়ার কারণে যে জুলুমটা হচ্ছে সে জুলুমের কারণে মেয়েও গুনাহগার হয়।
এখানে সুন্নত কই? আমাদের দ্বীনের বুঝ আছে, আমরাই যদি অনড় না হই তবে কারা হবে? কারা এই প্রশ্ন করা থেকে বিরত হবে? আর কারা বড় গলায় উত্তর দেওয়ার জন্য নিজের মান বোঝাতে বিরত হবে?
আমি আশা করবো আপনি আজকের পর থেকে আর কাউকে এই প্রশ্ন করবেন না। কারও ইবাদাতকে রিয়াতে পরিবর্তন করতে দিবেন না। কত দিল মোহর আর কত ভরি গয়না দিয়েছে এটা জিগেস না করে জিগেস করেন তার পরিবারে সে দ্বীন ঠিক মত কায়েম রাখছে কিনা, স্বামী সহ সবাইকে হিদায়েতের পথে ধরে রাখছে কিনা, পরিবারের উপর দাওয়াতের কাজ করছে কিনা, কারণ দ্বীনের উপর কায়েম থাকা পরিবারগুলোই সুখে থাকে। নিজের আমলের প্রতিদান হিসেবে মানুষ সুখে বা দুখে থাকে। টাকা পয়সা কম বেশি দিয়ে না।
লিখেছেন বোন- Zainab al gazi
“সুতরাং বিয়েতে কী দিসে? জামাই কী দিসে? মোহর কত? শাশুড়ি কী দিসে?” ইত্যাদি। অনেকে তো জিজ্ঞেস করেই ক্ষান্ত হয়না, কী কী দিয়েছে তা দেখার জন্য পীড়াপীড়ি করে।
যদি অনেক কিছু দিয়ে থাকে, অনেক মোটা অংকের মোহর থাকে, ভরি ভরি গয়না থাকে, দামি দামি পোশাক থাকে তবে আমরা এ গাল ও গাল হেসে বলি বাহ অনেক কিছুই তো দিলো, অনেক আদর করে তো বউকে, কিংবা কত ভাল উদার জামাই।
তারা এটা জেনেও জানে না যে এইসব টাকাপয়সা আর গয়নাগাটি দিয়ে কখনওই একটা মানুষের চরিত্র বা সুখ দুখ মাপা যায়না। বেশি কিছু দিলেই মনে করে মেয়ে ভাল আছে, হোক মেয়ের জামাই বেদ্বীন,বউ পেটা স্বভাবের কিংবা নেশাখোর।
আর মেয়েপক্ষ যখন গর্বে গর্বিত হয়ে বলতে থাকেন কী কী দিয়েছে মেয়েকে তখন মোহরটা কি মোহর থাকে নাকি রিয়া হয়ে যায়? মেয়ের হক আদায়ের জন্য মোহর হয় নাকি মানুষকে বড় গলায় বলার জন্য?
যদি মেয়েকে খুব বেশি কিছু না দেয়,তবে তাদের মুখ কালো হয়ে যায়, আফসুসের সুরে তারা বলেন- এমন যায়গায় মেয়ে কেনো বিয়ে দিলেন? কিংবা মেয়ের কি বিয়ে হচ্ছিল না? এক ঝটকায় তারা মেয়ের জামাইকে জাজ করে ফেলেন,জামাই এবার যত ভালই হোকনা কেনো তারা মনে করেন সেই বাড়িতে মেয়ের আদরকদর নাই,
ভাল জায়গায় বিয়ে হয়নাই।
যেসব মেয়েরা বলতে পারেনা তার বিয়ের সময় সে বেশি কিছু পায়নাই এদের মনে খুব কষ্ট আসে। এরা এসব নিয়ে নালিশ করে, সুযোগ পেলে স্বামীকে বলে বসে 'কই কিছুই তো দিলানা' কিংবা বাবা-মাকে বলে ' একদম মাগনা বিদায় করে দিয়েছো আমাকে'
বিয়ে শাদি যেন আজকাল ছেলে মেয়ে কেনাবেচা হয়ে গেছে। এক পক্ষের সেই উঁচু মোহর দাবী তো অপর পক্ষের সেই উঁচু যৌতুক দাবী।
আপনিই বলেন, কী মনে হচ্ছে আপনার? এসব দিয়ে একটা মেয়ে সুখে আছে কিনা তা বুঝে নিবেন? আমার মোহর কত আমার মা বাবাও জানেনা। আমার মোহর আমি নিজে নির্ধারণ করেছি। আমাকে এই যাবত যতজন জিগেস করেছে আমি কাউকেই এর উত্তর দেইনি। আমার মাকেও বলেছি উত্তর না দিতে। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যকাউকে তার এইসব ব্যক্তিগত বিষয় জিগেস করার আগে লজ্জা পাওয়া উচিৎ, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কত টাকা দিলো আর কী কী পরনের জন্য দিলো এসব কিভাবে কেও জিগেস করে?
আরেকটা বড় গুনাহের কথা কী জানেন? এতো বেশি মোহর যে চাওয়া হয়, সেই মোহর ছেলে আদৌ পরিশোধ করতে পারে না। যার কারণে গুনাহগার হয়, আর সামর্থ্যের বাহিরে চাওয়ার কারণে যে জুলুমটা হচ্ছে সে জুলুমের কারণে মেয়েও গুনাহগার হয়।
এখানে সুন্নত কই? আমাদের দ্বীনের বুঝ আছে, আমরাই যদি অনড় না হই তবে কারা হবে? কারা এই প্রশ্ন করা থেকে বিরত হবে? আর কারা বড় গলায় উত্তর দেওয়ার জন্য নিজের মান বোঝাতে বিরত হবে?
আমি আশা করবো আপনি আজকের পর থেকে আর কাউকে এই প্রশ্ন করবেন না। কারও ইবাদাতকে রিয়াতে পরিবর্তন করতে দিবেন না। কত দিল মোহর আর কত ভরি গয়না দিয়েছে এটা জিগেস না করে জিগেস করেন তার পরিবারে সে দ্বীন ঠিক মত কায়েম রাখছে কিনা, স্বামী সহ সবাইকে হিদায়েতের পথে ধরে রাখছে কিনা, পরিবারের উপর দাওয়াতের কাজ করছে কিনা, কারণ দ্বীনের উপর কায়েম থাকা পরিবারগুলোই সুখে থাকে। নিজের আমলের প্রতিদান হিসেবে মানুষ সুখে বা দুখে থাকে। টাকা পয়সা কম বেশি দিয়ে না।
লিখেছেন বোন- Zainab al gazi
আজকের আইডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url