ময়মনসিংহে এতিমখানায় শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিল ডিবির ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ
ময়মনসিংহে এতিমখানায় শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিল ডিবির ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
বর্তমান চলমান "করোনা ভাইরাস" এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা হলেও কমে এসেছে আমাদের দেশে। স্কুল-কলেজসহ ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মসজিদ, কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা গুলো খুলে দিয়েছে সরকার! লকডাউন কেটে যাওয়ার পরপরই, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মানবিক দৃষ্টি ছুয়ে দিল, এতিমখানার কোমলমতি শিশুদের উপর। তাদের মুখে হাসি ফুটাতে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায়, এতিম শিশুদের মাঝে মাক্স বিতরণ, খাবার পরিবেশন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের এতিমখানা গুলোতে তুলনামূলক কম অনুদান থাকায় প্রতিষ্ঠান খরচ যোগাতে বড়ই হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষের। সেখানকার শিক্ষার্থীদের কোনরকম দু'বেলা দু'মুঠো ডাল - ভাত খেয়ে দিন যাপন করে। এরই সুবাদে ময়মনসিংহে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আহমার উজ্জামান মানবিক দায়িত্ববোধ পালন করলেন। উনি ময়মনসিংহ জেলার গ্রামে গঞ্জের এতিমখানা গুলির খুজ খবর নিতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ কে দায়িত্ব প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিতায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় এবং ডিবি'র ওসির তত্ত্বাবধায়নে (৩ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব, ময়মনসিংহ নগরীর মহজমপুর হাফিজিয়া এতিমখানায় ১২০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে মাক্স বিতরণ, খাবার পরিবেশন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জানা যায় এতিমখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত মৌলভী সাহেবের সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিবি'র ওসি বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মানবিক এসপি মহোদয় আমাকে ফোন করে বললেন, লকডাউন তো শেষ মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো বর্তমানে খোলা রয়েছে, আমরা প্রতিনিয়ত ভালো-মন্দ খেয়ে থাকি, কিন্তু ওই এতিম শিশু গুলো কত অবহেলা, অনাদরে দিন কাটাচ্ছে। কোনরকম খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকলেও ভালো-মন্দের দেখা পায় না তারা। তাই গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত অবহেলিত এতিমখানা গুলোর খোঁজ নিতে।
মানবিক বিবেচনার ক্ষেত্রে এদের ভালো কিছু খাবার দেওয়া দরকার। ময়মনসিংহ জেলার এসপি স্যারের মানবিক জ্ঞানের একান্ত ফসল আজকের এই অনুষ্ঠান। এতিমদের কথা কু’রআনে বহুবার এসেছে, কারণ আল্লাহর কাছে এতিমদের গুরুত্ব অনেক বেশি। তা আমরা কয়জন জানি? আমাদের এলাকায় এতিম কারা? এতিমদের মাথায় হাত ভুলিয়ে দিলেও সোয়াব।
আজকে যারা এই প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া করছে, তারাই একদিন হয়তো কোন মসজিদ, মাদ্রাসায় ইমাম ও শিক্ষকতা মাধ্যমে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তোমরা সর্বদাই শিক্ষককে মর্যাদা এবং সম্মান দিবে পাশাপাশি ভালো করে মনোযোগের সহিত লেখাপড়া করবে! যাতে করে তোমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে পারো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কোরনা ভাইরাস সংকটে দেশের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মাজে ইতি মধ্যে কওমী মাদরাসা গুলো খোলে দিয়েছে সরকার। তাই এ সময় আমাদের সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সেই সাথে অবশ্যই মাক্স পরিধান করা ও দূরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যক।
সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা -কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও ওলামায়ে মাশায়েখগণ।
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
বর্তমান চলমান "করোনা ভাইরাস" এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা হলেও কমে এসেছে আমাদের দেশে। স্কুল-কলেজসহ ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মসজিদ, কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা গুলো খুলে দিয়েছে সরকার! লকডাউন কেটে যাওয়ার পরপরই, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মানবিক দৃষ্টি ছুয়ে দিল, এতিমখানার কোমলমতি শিশুদের উপর। তাদের মুখে হাসি ফুটাতে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায়, এতিম শিশুদের মাঝে মাক্স বিতরণ, খাবার পরিবেশন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের এতিমখানা গুলোতে তুলনামূলক কম অনুদান থাকায় প্রতিষ্ঠান খরচ যোগাতে বড়ই হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষের। সেখানকার শিক্ষার্থীদের কোনরকম দু'বেলা দু'মুঠো ডাল - ভাত খেয়ে দিন যাপন করে। এরই সুবাদে ময়মনসিংহে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আহমার উজ্জামান মানবিক দায়িত্ববোধ পালন করলেন। উনি ময়মনসিংহ জেলার গ্রামে গঞ্জের এতিমখানা গুলির খুজ খবর নিতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ কে দায়িত্ব প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিতায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় এবং ডিবি'র ওসির তত্ত্বাবধায়নে (৩ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব, ময়মনসিংহ নগরীর মহজমপুর হাফিজিয়া এতিমখানায় ১২০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে মাক্স বিতরণ, খাবার পরিবেশন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জানা যায় এতিমখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত মৌলভী সাহেবের সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিবি'র ওসি বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মানবিক এসপি মহোদয় আমাকে ফোন করে বললেন, লকডাউন তো শেষ মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো বর্তমানে খোলা রয়েছে, আমরা প্রতিনিয়ত ভালো-মন্দ খেয়ে থাকি, কিন্তু ওই এতিম শিশু গুলো কত অবহেলা, অনাদরে দিন কাটাচ্ছে। কোনরকম খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকলেও ভালো-মন্দের দেখা পায় না তারা। তাই গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত অবহেলিত এতিমখানা গুলোর খোঁজ নিতে।
মানবিক বিবেচনার ক্ষেত্রে এদের ভালো কিছু খাবার দেওয়া দরকার। ময়মনসিংহ জেলার এসপি স্যারের মানবিক জ্ঞানের একান্ত ফসল আজকের এই অনুষ্ঠান। এতিমদের কথা কু’রআনে বহুবার এসেছে, কারণ আল্লাহর কাছে এতিমদের গুরুত্ব অনেক বেশি। তা আমরা কয়জন জানি? আমাদের এলাকায় এতিম কারা? এতিমদের মাথায় হাত ভুলিয়ে দিলেও সোয়াব।
আজকে যারা এই প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া করছে, তারাই একদিন হয়তো কোন মসজিদ, মাদ্রাসায় ইমাম ও শিক্ষকতা মাধ্যমে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তোমরা সর্বদাই শিক্ষককে মর্যাদা এবং সম্মান দিবে পাশাপাশি ভালো করে মনোযোগের সহিত লেখাপড়া করবে! যাতে করে তোমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে পারো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কোরনা ভাইরাস সংকটে দেশের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মাজে ইতি মধ্যে কওমী মাদরাসা গুলো খোলে দিয়েছে সরকার। তাই এ সময় আমাদের সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সেই সাথে অবশ্যই মাক্স পরিধান করা ও দূরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যক।
সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা -কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও ওলামায়ে মাশায়েখগণ।
আজকের আইডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url